শিশুর সুরক্ষায় বেশ কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা | বাসাতেই তৈরী করে নিন শিশুর জন্য First Aid Kit | First Aid Guide for Parents | Make a First Aid Box

By | May 13, 2019

 

শিশুর First aid box এ মোটামুটি যে সকল জিনিস রাখতে পারেন

  • ব্যান্ড এইড(ব্যাণ্ডেজ)
  • Sterile Gauze(ক্ষতস্থান বাঁধার কাপড় বিশেষ)
  • Cotton(তুলা)
  • Antiseptic Ointment
  • Burn Ointment
  • Thermometer
  • Scissors(কাঁচি)
  • Hot/Cold Compress(Hot Water/Ice Bag)
  • Tweezers(চিমটা)
  • Fever Medication(জ্বরের ঔষধ,সাপোজিটার)
  • Gas Relief Medication(গ্যাসের ঔষধ)
  • Pain Relief(Pain relief Medication,Pain relief Spray,Suppository)
  • Oral Rehydration Solution (ORS)/মুখে খাবার স্যালাইন
  • Nasal Drops(নাকের ড্রপ)
  • পরিস্কার সুতির নরম কাপড়

এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী Medicine এবং Material দিয়ে First aid box ready করে রাখতে পারেন।

আমারা আমাদের প্রাত্যাহিক জীবন যাপনে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট আকস্মিক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে থাকি।তাই প্রত্যেকের বিশেষ করে সন্তানের মা বাবার বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে খুব স্পস্ট ধারনা থাকা দরকার।কারন প্রাথমিক চিকিৎসা অনেক সময় অনেক বড় ক্ষতি থেকে রেহাই দিতে পারে।বাড়ন্ত শিশুরা দুরন্ত এবং অসাবধানতার ফলে প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে থাকে , তাই প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে পরিবারের সব সদস্যের সচেতন হওয়া উচিৎ।শিশুরা যেকোন ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা ঘাবড়িয়ে যাই এবং এটা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।এক্ষেত্রে নিজেকে শক্ত রেখে ধৈর্য ধরে যতটা সম্ভব দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাবস্থা করতে হবে।এজন্য ছোটাছুটি করে সময় নষ্ট না করে শিশুর জন্য First aid box তৈরী করে রাখতে পারেন।

নাক দিয়ে রক্ত পরা

আঘাত কিংবা অন্য কোন কারনে নাক দিয়ে রক্ত পরলে সাথে সাথে বাচ্চাকে শিরদারা সোজা রেখে মাথাটা একটু পিছনের দিকে হেলিয়ে উচু কোন স্থানে(চেয়ারে) বসাতে হবে।এবার একটি পরিস্কার কাপড় দিয়ে নাকের উপরের দিকটা চেপে ধরতে হবে।এক্ষেত্রে বরফ খুব উপকারি।তবে রক্তপাত বন্ধ না হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

অল্প সল্প পুড়ে গেলে

পোড়া জায়গায় ধীরে ধীরে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে।জ্বলুনি কিছুটা কমে আসলে সাবধানে কাপড় দিয়ে মুছে এন্টিসেপটিক ক্রিম অথবা burnol টাইপের মলম লাগাতে হবে।এক্ষেত্রে মধু কিংবা গন্ধ বিহীন প্রাকৃতিক অ্যালোভেরার জেলও পুড়ে যাওয়া স্থানে লাগাতে পারেন কারন এগুলি প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

হাত পা ভেঙ্গে বা মচকে যাওয়া

সবার আগে নিশ্চিত হতে হবে হাত অথবা পা যে অঙ্গই হোক না কেন তা একেবারে ভেঙ্গে গিয়েছে কিনা।কারন ভেঙ্গে গেলে প্রচুর ব্যাথা হবে এবং বাচ্চা ব্যাথা পাওয়া অঙ্গটি নাড়াতে পারবে না।যদি খুব অল্প আঘাতে মচকে যায় তবে বাচ্চাকে বিশ্রামে রাখতে হবে।এ ক্ষেত্রে ব্যাথার জায়গায় ১৫ মিনিটের মত বরফ ঠান্ডা সেক দিলে দ্রুত আরাম পাবে।

কেটে গেলে

আক্রান্ত স্থানটি বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার শুকনো কাপড় কিংবা গজ দিয়ে চেপে ধরতে হবে।যদি অল্প সময়ের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয় তবে নরম কাপড় বা গজ দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে।খেয়াল রাখতে হবে যে ব্যান্ডেজ রক্তে ভিজে যাচ্ছে কিনা এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

হঠাৎ মৃগীরোগ

বাচ্চা হঠাৎ করেই মৃগীরোগে আক্রান্ত হলে তাকে সমতল মেঝেতে একদিকে কাত করে শোয়াতে হবে।পড়োনের কাপড় চোপড় ঢিলে করে দিতে হবে।বাচ্চা যদি বমি করে তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন অবশ্যই কাত হয়ে শোয়ান থাকে।একটি পরিস্কার কাপর দিয়ে বাচ্চার মুখের ভিতর পরিস্কার করে দিতে হবে।এক্ষেত্রে যদি খিচুনি বেশী সময়(আনুমানিক ৫ মিনিটের বেশী)ধরে থাকে তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে,প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

বাচ্চার কানে কিংবা নাকে কিছু ঢুকে গেলে

বাচ্চার নাকে কিংবা কানে কোন কিছু ঢুকে আটকে গেলে যদি সেটা হাতের নাগালে না থাকে তবে আঙ্গুল বা ধারালো কোন কিছু দিয়ে বের করার চেস্টা করবেন না।এমতাবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

হিট স্ট্রোক

গরম কালে বাচ্চার হিট স্ট্রোক হলে সাথে সাথে ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।পরোনের কাপড় আলগা করে দিতে হবে এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে গা মুছে বারে বারে পানি জাতীয় খাবার যেমন – পানি ,শরবত,ফলের জুস,ডাবের পানি খাওয়াতে হবে।

পোকা কামড় দিলে

পোকা কামড় দিলে আক্রান্ত স্থানে বরফ সেক দিলে কিংবা একটা কাপরে বরফ পেচিয়ে ঘসলে জ্বলুনি এবং ব্যাথা ধীরে ধীরে কমে যাবে।প্রয়োজনে antiseptic ointment লাগানো যেতে পারে।তবে পোকার কামড়ে যদি allergic reactions হয় তবে দেরী না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাচ্চার মাথায় আঘাত লাগা

বাড়ন্ত শিশুদের পরে যাওয়া এবং মাথায় আঘাত পাওয়ার মত ঘটনা অহরহ হয়ে থাকে,পরে যেয়ে কিংবা অন্য কোন কারনে যদি মাথায় আঘাত লেগে ফুলে যায় তবে আক্রান্ত স্থানে বরফ ঠান্ডা সেক বা বরফ ঘসলে দ্রুত আরাম পাবে।তবে আঘাত যদি গুরুতর হয় এবং রক্তপাত,বমি,জ্ঞান হারানো,খিঁচুনি,নীল হয়ে যাওয়া কিংবা বাচ্চা অস্বাভাবিক আচরন করে তবে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে,প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।মাথায় আঘাত লাগার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা শিশুর Activities নজরদারীতে রাখতে হবে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *