শিশুর সঠিক ওজন বৃদ্ধিতে কেমন হবে খাবার | Healthy Diet Plan for Children to Gain Weight

By | May 6, 2019

বয়স অনুযায়ী সঠিক ওজন বৃদ্ধি শিশুদের সুস্থতার একটি বিশেষ লক্ষন।আজকালকার  দিনে বেশীরভাগ মা বাবাই বাচ্চার কম ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন।শিশুর সুস্থতা এবং পরিপূর্ণ শারীরিক ও মানষিক বিকাশ সবচেয়ে বেশী নির্ভর করে সুষম খাবারের উপরে।বয়স অনুযায়ী যদি শিশুর ওজন না বাড়ে তবে অবশ্যই তার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে।প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খুজে দেখতে হতে হবে কি কারনে বাচ্চার ওজন বাড়ছে না।

অনেক সময়ে বাচ্চারা ক্রিমি,আমাশয় এবং ডায়াবেটিকস সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে যা বাহির দিয়ে দেখে বোঝা যায়না,এসব কারনেও বাচ্চারা খেতে চায়না কিংবা যথেস্ট পরিমানে খাবার খাওয়ার পরেও ওজন কমে যায় বা ওজন বাড়ে না।বাচ্চার ওজন কমে যাওয়ার ৩টি কারন

ছোট বাচ্চাদের পাকস্থলী যেহেতু খুব ছোট তাই অল্প পরিমানে খাবার তারা খেয়ে থাকে,এজন্য বাচ্চাদের ওজন ঠিক রাখার জন্য দৈনিক উচ্চ ক্যালোরি এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে যেগুলিতে ভিটামিনস,মিনারেলস এবং প্রোটিনসহ সব ধরনের খাদ্য উপাদান বিদ্যমান থাকে।বাচ্চাকে কতবার এবং কতটুকু খাওয়াবেন

শিশুর প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই নিম্নোক্ত প্রধান ৪ ধরনের খাবার থাকতে হবে

Food Groups Foods
বিভিন্ন ধরনের শস্য এবং শর্করা সমৃদ্ধ খাবার(Grains and Carbohydrates) ভাত,রুটি,পাউরুটি,পাস্তা,আলু,মিস্টি আলু এবং আরও অন্যান্য শস্য জাতীয় খাবার(যব,বার্লি,ওটস,ভুট্টা,সাগু)।
ফল এবং শাক সবজি(Fruits and Vegetables) বিভিন্ন ধরনের রঙ্গিন ফল এবং সবুজ শাক সবজি যেমন কলা,আম,নাশপাতি,পেপে,আপেল,খেজুর,বিভিন্ন টক ফল এবং ফুলকপি,ব্রকলি,বিভিন্ন ধরনের শিম জাতীয় সবজি।
আমিষ সমৃদ্ধ খাবার(Protein Rich Foods) মুরগীর মাংস,মাছ সহ অন্যান্য প্রানীজ আমিষ,ডিম,বিভিন্ন ধরনের ফল এবং সবজির বিচি এবং বাদাম(Dried Fruit)।
দুদ্ধজাত খাবার(Dairy) দুধ,দই,চীজ,বাটার,ঘী সহ দুধ দিয়ে তৈরী যেকোন খাবার।

 

  • বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিশ্রম এবং ছুটোছুটি করতে উৎসাহিত করতে হবে।এখনকার দিনে বাচ্চারা বাহিরে মাঠে খেলার চেয়ে ঘরে বসে ভিডিও গেমস কিংবা মোবাইল,টেলিভিশন অথবা ট্যাব নিয়েই ব্যাস্ত থাকে।এরফলে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং যথেস্ট পরিমানে চলাফেরা না করার কারনে হজম শক্তি ব্যাহত হয়,বাচ্চারা খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ফলে বয়স অনুযায়ী সঠিক ওজন বৃদ্ধি হয় না।
  • একেবারে সদ্যজাত শিশু থেকে শুরু করে বুকের দুধ খায় এমন বাচ্চাদের খাবার খাওয়ার পরে ঢেকুর(burping) তোলার অভ্যাস করতে হবে।এতে করে বাচ্চার পেটে গ্যাস(colic) জমে থাকবে না ফলে বাচ্চা যথেস্ট পরিমানে খেতে পারবে এবং ওজন বৃদ্ধি ঘটবে।শিশুকে সলিড খাওয়ানো শুরু করবেন কখন
  • পাশাপাশি বাচ্চাদে যেকোন ধরনের জাঙ্ক ফুড (junk food) যেমন – কোমল পানীয় (Soft Drinks),চিপস,চকোলেট সহ বিভিন্ন ধরনের বাহিরে তৈরী ফাস্ট ফুড (বার্গার,পিজ্জা,গ্রীল,ফ্রাই)খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • এছাড়াও বাজারজাত বিভিন্ন ধরনের ওজন বৃদ্ধিকারক খাবার এবং হেলথ ড্রিংকস (Weight Gaining Foods ,Health Drinks) যেগুলির বিজ্ঞাপন আমরা সকাল সন্ধ্যা টেলিভিশনের পর্দায় দেখি সেগুলির উপরে ভরসা না করে বাসাতেই পুষ্টিকর সুষম খাবার তৈরী করে খাওয়াতে হবে।এতে করে বাচ্চার সুস্থ শারীরিক এবং মানষিক বিকাশ ঘটবে।

সবার আগে মনে রাখতে হবে বেশি ওজনের বাচ্চাই কিন্তু সুস্থ বাচ্চা নয়,বাচ্চার শারীরিক সুস্থতাই প্রধান লক্ষ হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *