নতুন মাতৃত্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি হল বাচ্চার পটি এবং প্রস্রাবের ব্যাপার টা সঠিক ভাবে ম্যানেজ করা। মা হিসাবে আমরা আমাদের শিশুদের যতটা সম্ভব আরাম দেবার সর্বোত্তম চেষ্টা করে থাকি।এখনকার দিনে বেশির ভাগ মা বাবা বাচ্চাদের ডায়াপার পরিয়ে থাকে।ডায়াপার পরানোর যেমন সুবিধা আছে ঠিক তেমনি সঠিক ভাবে যত্ন নিতে না পারলে সেটা বাচ্চার জন্য কস্টের বড় কারন হয়ে দাড়ায়।বেশ কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখলে এবং সঠিক নিয়মে ডায়াপার পরালে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এর সুফল পেতে পারেন।
বাচ্চাকে ডায়াপার পরানোর সময় যে বিষয় গুলি মেনে চলবেন
- বাচ্চার জন্য সঠিক মাপের ডায়াপার নির্বাচন করুন।এটা সাধারনত বয়স এবং ওজন ভেদে নির্বাচন করতে হয়।সাধারনত বেল্ট সিস্টেম আর প্যান্ট সিস্টেম এই দুই ধরনের ডায়াপার মার্কেটে পাওয়া যায়।ছোট বাচ্চাদের জন্য বেল্ট সিস্টেম টা ভাল,একটু বড় বাচ্চা যারা হাটাহাটি,দৌড়াদৌড়ি করে তাদের জন্য প্যান্ট সিস্টেম টা ভাল।
- ডায়াপার পরানোর আগে বাচ্চার private parts অবশ্যই ভালভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে,এক্ষেত্রে সুতির নরম কাপর বা তুলা হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে সব সময় সামনে থেকে পিছন দিকে মুছে পরিস্কার করে দিবেন।
- বাচ্চাকে পরিষ্কার করে নিয়ে শুকনো করে মুছে ডায়াপার এড়িয়াতে তেল বা ভাল ব্র্যান্ডের লোশন লাগিয়ে নিবেন।এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল,শরিষার তেল কিংবা নারিকেল তেল ব্যাবহার করতে পারেন।অনেকে আবার ন্যাপি ক্রিম বা পাউডার ব্যাবহার করে থাকেন।
- ডায়াপার পরানোর পর খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চার শরিরে বিশেষ করে ডায়াপার এড়িয়াতে কোন ধরনের র্যাশ বা অ্যালার্জি উঠেছে কিনা।
- একটি ডায়াপার ৬ – ১২ ঘন্টা পর্যন্ত পরিয়ে রাখা যায়,কতক্ষন পরানো যাবে সেটা ব্র্যান্ড ভেদে প্যাকেটের গায়ে লিখে দেয়া থাকে।তবে বাচ্চা পায়খানা করার সাথে সাথে ডায়াপার বদলিয়ে দিবেন।
- একটা ডায়াপার খুলে ফেলার পর সাথে সাথে আরেকটা ডায়াপার বাচ্চাকে পরাবেন না।কমপক্ষে ৩০ মিনিটের বিরতি দিবেন যাতে করে আলো বাতাস লাগে।ডায়াপার খোলার পরে একই ভাবে ডায়াপার এড়িয়া পরিস্কার করে দিতে হবে।
- বাচ্চাকে রাতে ডায়াপার পরালে সেসব ডায়াপার ব্যাবহার করুন যেগুলি রাত্রে পরানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরী।
- যদি ডায়াপার র্যাশ হয়ে যায় তবে বিভিন্ন ধরনের ন্যাপি র্যাশ ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলি ব্যাবহার করতে পারেন,প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।