একটি শিশু জন্মের পর মা বাবাসহ পরিবারের সকলের আনন্দ ও ভাললাগার সাথে সাথে দায়িত্বও বেড়ে যায়।বাচ্চাকে খাওয়ানো,গোসল করানো,ঘুম পাড়ানো সব কিছুই খুব যত্ন সহকারে পালন করতে হয়।শিশু মায়ের গর্ভে বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়েই পার করে দেয়,তাই ভূমিষ্ঠ হবার পর নতুন পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত হতে কিছুটা সময় লেগে যায়।
প্রত্যেক টা শিশুর খাওয়া,ঘুম,আচার আচরন আলাদা হয়ে থাকে।কোন শিশু রাতেব বেশ ভালই ঘুমায় আবার কোন শিশু রাতে জেগে থাকে।সাধারনত সন্তান জন্ম দেবার পর মা খুব ক্লান্ত থাকে তাই এই সময়ে মায়েরও প্রচুর বিশ্রামের প্রয়োজন হয়ে থাকে।আমাদের মায়েরা প্রায়শই অভিযোগ করে থাকে যে বাচ্চা রাতে ঘুমায় না যার ফলে মায়েরও ঘুম হয় না এবং বেশ ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে সময় টা পার করতে হয়।তাই সন্তান জন্মের পর দিনে রাতে কতক্ষন ঘুমাবে,ঘুমানোর সময় বাচ্চার চারপাশের পরিবেশ কেমন হবে ইত্যাদি বেশ কিছু বিষয়ে একটু সচেতন থাকলে এরকম পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পরিবর্তন করা সম্ভব।
সাধারনত বাচ্চারা জন্মের পর সর্বোচ্চ ১৬-১৭ পর্যন্ত ঘুমাতে পারে।কিন্তু জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহে একনাগারে ২ ঘন্টার বেশি সময় তারা ঘুমায় না এবং ধীরে ধীরে বাচ্চা বড় হবার সাথে সাথে ঘুমের সময়ের পরিবর্তন ঘটে।তাই শুরু থেকেই বেশ কিছু ব্যাপারে সচেতন হলে বাচ্চার ঘুমের একটা নিদ্রিস্ট রুটিন মেনে চলা যায়।
শিশুর ঘুমের সময় সুনির্দিষ্ট করা
বাচ্চার ঘুমের সময় মেনে চলা খুব জরুরি।প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর চেস্টা করতে হবে।প্রয়োজনে ঠিক ঐ সময়ে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে গান গেয়ে ঘুম পাড়ানোর চেস্টা করবেন।কয়েকদিন এই অভ্যাস মেনে চললে দেখবেন বাচ্চা ঠিক ঐ সময়ে ঘুমিয়ে যাবে।
শিশুর ঘুমের জন্য পরিবেশ তৈরী করা
ঘুমের জন্য বাচ্চার চারপাশের পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।ঘুমের সময়টাতে বাচ্চার ঘরে যাতে বেশী লোকজন না থাকা,উচ্চ সরে কথা না বলা,বাসায় টিভির শব্দ কমিয়ে দেয়া এই সমস্ত ছোট ছোট বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।এছাড়াও বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর সময় ঘরের লাইট নিভিয়ে দিয়ে খুব সল্প পাওয়ারের লাইট জালিয়ে রাখতে পারেন।
শিশুকে দিন রাতের পার্থক্য বুঝানোর চেস্টা করুন
শিশুরা মায়ের গর্ভে যখন থাকে তখন দিন রাত আলাদা করে বুঝতে পারে না কারন মায়ের গর্ভে পরিবেশ যেমন আলো উষ্ণতা সবই একই রকম থাকে।একারনে ছোট বাচ্চারা প্রায়শই দিনে ঘুমায় আর রাতে জেগে থাকে,এই অভ্যাস টা ধীরে ধীরে বদলিয়ে ফেলতে হবে।বাচ্চাকে দিনে বেশী বেশী সময় দিতে হবে,তার সাথে কথা বলা,প্রয়োজনে একটু বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া মোটকথা বাচ্চাকে দিনে একটু কম ঘুম পারিয়ে রাতে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।এর পরেও যদি বাচ্চা রাতে না ঘুমায় তবে চিন্তিত হবার কিছু নেই,একটু ধৈর্য নিয়ে কয়েক দিন চেস্টা করলেই বাচ্চার ঘুমের রুটিন ঠিক হয়ে যাবে।