গর্ভাবস্থায় অবশ্যই খাবেন যে খাবারগুলি

By | November 24, 2018

একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য সব সময়ই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।তাই গর্ভাবস্থার শুরু থেকে অবশ্যই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত যাতে করে গর্ভের শিশুটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। 

ডিম
ডিম শুধু যে দামেই সস্তা তা নয় বরং ডিম বহুবিধ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার,এ জন্য ডিমকে সুপারফুড হিসেবে অখ্যায়িত করা হয়।ডিমে প্রয়োনীয় পুষ্টি উপাদান প্রোটিন,সেলেনিয়াম,জিঙ্ক,ভিটামিন এ,ডি ও কিছু বি কমপ্লেকস রয়েছে যেগুলি বাচ্চার ব্রেইনের গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।গর্ভাবস্থায় ডিম ভাজি,সিদ্ধ,রান্না যে কোন ভাবেই খেতে পারেন তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ডিম কোন অবস্থাতেই যেন কাচা না থাকে।কারন কাচা ডিমে একপ্রকার ব্যাক্টেরিয়া থাকে যেটা ক্ষতিকর।


দুধ এবং দই
দুধ এবং দই গর্ভস্থ শিশু ও গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাবার।ক্যালসিয়াম,ভিটামিন ডি,ফসফরাস এবং প্রোটিন এর ভাল উৎস হচ্ছে দুধ যা মা ও বাচ্চা উভয়ের হাড়্র এবং পেশির গঠনের জন্য আবশ্যক।আবার অনেকেই দুধ খেতে পারেনা তারা দুধের বদলে দই খেতে পারে কারন দই এ দুধের চেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে।


ফল এবং শাক সবজি
শাক সবজি গর্ভবতী মা এবং বাড়ন্ত শিশু উভয়ের জন্য সুপার ফুড তাই প্রতিদিনের খাবারে তাজা শাক সব্জি অব্যশই থাকা উচিত।সবুজ শাক সব্জিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা মা ও গর্ভের বাচ্চার সুস্থতার জন্য খুব জরুরি।এছাড়াও ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,ফাইবার,আয়রন এবং ভিটামিনের সহজ উৎস হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক সব্জি।গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ মহিলাই রক্তশূন্যতায় ভুগে থাকেন তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন গ্রহণ করতে হবে যাতে করে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে না পারে।ভিটামিন সি আয়রনের শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়,তাই প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন আমলকী, পেয়ারা, কমলা লেবু, বাতালি লেবু ও লেবুজাতীয় ফল খেতে হবে।


মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এটা রক্তে শকর্রার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তাই এটি ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য উপকারী।মিষ্টি আলুতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফাইবার,পটাশিয়াম,ভিটামিন বি৬,আয়রন এবং বিটা ক্যারোটিন যা গর্ভস্থ শিশুর জন্য অতীব আবশ্যক।মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে,তরকারিতে মিশেল দিয়ে,হালুয়া বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মত করে ভেজেও খেতে পারেন।


মাছ মাংস
গর্ভস্থ শিশুর সঠিক বৃদ্ধি এবং পেশীর গঠনের জন্য গর্ভবতী মায়ের প্রচুর পরিমানে আমিষ খেতে হয়।আর আমিষের প্রধান উৎস হচ্ছে মাছ মাংস।চর্বি ছাড়া মাংসে প্রোটিনের পাশাপাশি আয়রন ও ভিটামিন বি৬,বি১২ থাকে যা শিশুর মস্তিকের বিকাশ রক্তসল্প্তা দুর করতে গুরুত্বপুর্ণ।মাছের তেলেও রয়েছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন। তবে গর্ভাবস্থায় সামুদ্রিক মাছ না খাওয়াই ভাল কারন বেশীরভাগ সামুদ্রিক মাছে মারকারি থাকে যা স্বাস্থ্য়ের জন্য ক্ষতিকর।


বাদাম এবং ডাল জাতীয় খাবার
বাদাম এবং ডাল জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন,ফাইবার,ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড,বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল।গর্ভাবস্থায় অনেক সময় মাছ মাংস খেতে ভাল লাগে না তাই বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন ডাল জাতীয় খাবার।প্রতিদিন বাদাম খেলে প্রিম্যচিউর বাচ্চা ডেলিভারি আশ্ংকা হ্রাস পায় এবং গর্ভস্থ বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পায়।


ওটমিল(ওটস)
ওটমিল বা ওটস কে গর্ভাবস্থায় সুপার ফুড হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে।ওটমিল এ প্রচুর পরিমানে ফাইবার, প্রোটিন এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে যা বাচ্চার সঠিক বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারি।গর্ভাবস্থায় বেশীরভাগ মায়েরাই কোস্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকেন তাই রোজ একবাটি ওটস খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *