শিশুদের সর্দি কাশি
প্রত্যেক মা বাবার একটাই চাওয়া থাকে যেন তাদের বাচ্চা সব সময় সুস্থ থাকে।সাধারনত ছোট বাচ্চারা সর্দি জ্বরে সবচেয়ে বেশী ভুগে থাকে।বিশেষজ্ঞদের মতে সর্দি কাশির কোন ঔষধ ৪ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ নয়।এসব ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে বাচ্চাদের জীবন হুমকির মুখে পরে।সুতরাং এসব ঔষধের পরিবর্তে নিরাপদ ও কার্যকর ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যাবহার করা আরও ভাল।এই পোস্টটিতে আমরা এরকম বেশ কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্ক এ আলোচনা করেছি যাতে করে মা বাবারা একটু হলেও উপক্রিত হয়।
পর্যাপ্ত পরিমানে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে
বাচ্চা যদি বুকের দুধ খায় তবে বার বার বুকের দুধ খাওয়ানর চেস্টা করুন।এসময় বাচ্চা যাতে করে পানিশুন্য না হয়ে পরে এর জন্য বেশী বেশী তরল খাবার দিতে হবে।বুকের দুধে অ্যান্টিবডি থাকে যা বাচ্চাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলে।
বাচ্চাকে প্রচুর বিশ্রাম দিতে হবে
বাচ্চা কে যতটা সম্ভব বিশ্রাম দিতে হবে যাতে করে সে যেকোন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে।কারন বাচ্চা দুর্বল হয়ে পরলে সুস্থ হতে আরও বেশী সময় লাগবে।
গরম পানির ভাপ দেয়া(বাচ্চার বয়স ৩ মাসের বেশী হলে)
ঠান্ডা সর্দি লাগলে বাচ্চাকে গরম পানির ভাপ দিলে খুব উপকার পাওয়া যায়।বাচ্চাদের ঘরে কিংবা বাথরুমে একটি বড় গামলায় ফুটন্ত গরম পানি নিয়ে তার পাশে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ১৫-২০ মিনিটের জন্য বসে থাকুন।এতে করে বাচ্চার নিশ্বাস এর সাথে বাষ্প যেয়ে ভিতরের শ্লেষ্মা গলিয়ে দেবে এবং বাচ্চা আরাম পাবে।চাইলে কুসুম গরম পানি দিয়ে শরির মুছিয়ে দিতে পারেন।
লবন পানির ড্রপ(নাকের ড্রপের ব্যাবহার)
লবন পানির ড্রপ বাচ্চাদের বন্ধ নাক খোলার জন্য খুব উপকারি। লবন পানির স্যালাইন জমে থাকা শ্লেষ্মা পাতলা করে দেয় ফলে বাচ্চা সহজেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে।খাবারের অন্তত ৩০ মিনিট আগে এই ড্রপ ব্যাবহার করলে বন্ধ নাক খুলে যায় এবং বাচ্চা খাবার খেতে পারে।
উচু বালিশে শোয়ানো
বাচ্চার যদি সর্দি কাশির সময় উচু বালিশে শোয়ানো উচিত,এত করে ঠিকভাবে নিশ্বাস নিতে পারবে।
মধু এবং দারচিনি
মধু সর্দি কাশির মহা ঔষধ হিসেবে ব্যাবহিত হয়।মধুর সাথে একটু দারচিনি গুড়ো মিশিয়ে খাওয়ালে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।এছাড়াও অল্প মধু দিয়ে তুলসী পাতার রস বাচ্চাদের খাওয়ালে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
জিরা পানি
জিরা পানি বাচ্চাদের হজমের জন্য খুব উপকারি কিন্তু এটি এক বছরের বেশী বয়সি বাচ্চাদের শুকনো কাশি উপশম করে থাকে।
মুরগির স্যুপ
বাচ্চাদের সর্দি লাগলে চিকেন স্যুপ করে দিতে পারেন।স্যুপে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকায় বাচ্চারা অনেক বেশী পুস্টি পায় ফলে খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে ওঠে।
কর্পূর তেল মালিশ
নারিকেলের তেক গরম করে খুবই সামান্য পরিমান(এক চিমটি)কর্পূর গুড়ো যোগ করে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন।এবার হাতের তালুতে কয়েক ফোটা তেল নিয়ে বাচ্চার বুকে ধীরে ধীরে মালিশ করে দিন।
সর্ষের তেল এবং রসুনের মিশ্রন
কয়েক কোয়া রসুন থেতলে নিয়ে সর্ষের তেলের সাথে গরম করে নিন,এই তেল বাচ্চার বুকে,পাজরে এবং গলায় মালিশ করলে বাচ্চা আরাম পাবে।
হলুদ মিশানো দুধ খাওয়ানো
হলুদ রক্ত পরিস্কার করে থাকে তাই বাচ্চাদের খাবারে অবশ্যই হলুদ ব্যাবহার করবেন।এছাড়াও বাচ্চাদের হলুদ মিশানো দুধ খাওয়াতে পারেন।এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
কফের লজেন্স
একটু বড় বাচ্চাদের শুকনো কাশির জন্য কফ নিরাময়ের লজেন্স খাওয়াতে পারেন।বাসায় বিভিন্ন ভেসজ উপাদান দিয়ে তৈরী করে রাখতে পারেন এই লজেন্স।