বাচ্চার মায়েরা প্রায়শই দুশ্চিন্তায় ভোগেন যে ৬ মাস পূর্ণ হবার পর থেকে মানে বাড়তি খাবার বাচ্চাকে সারাদিনে কতবার এবং কতটুকু খাওয়াবেন।যেহেতু বাচ্চারা সলিড শুরুর প্রথম দিকে খুব সামান্যই খায় তাই এমন ভাবে বাচ্চাদের খাওয়ানো উচিত যাতে করে তাদের পুষ্টির অভাব না ঘটে।সব বাচ্চার খাদ্য চাহিদা একরকম হয় না তাই সহজ একটি রুটিন মেনে চললে বাচ্চারা কখনই পুষ্টিহীনতায় ভুগবেনা।
কতবার বাচ্চাকে খাওয়াবেন
এই রুটিন মেনে বাচ্চাকে খাওয়ালে আশাকরি বাচ্চ্চার পুষ্টির কোন অভাব হবেনা এবং বাচ্চার Weight এবং Height একদম ঠিক থাকবে।
- 3 Meals(Breakfast,lunch,Dinner – সকালের নাস্তা,দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার)।
বাচ্চাকে বাড়তি খাবার শুরু করার পর থেকেই প্রধান তিন বেলা (সকালের নাস্তা,দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার) অবশ্যই নিয়ম করে খাওয়াতে হবে।বাচ্চা কম খাক/বেশী খাক পরিমান মত পুস্টিকর খাবার এই তিন বেলা বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে।
- 2 Snacks(Mid-morning,Afternoon)
সকালের নাস্তা এবং দুপুরের ভারী খাবারের মাঝে বাচ্চাদের আরেক বার হালকা নাস্তা খাওয়াতে হবে।
ঠিক একই ভাবে দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের মাঝে আরেক বার পুস্টিকর হালকা নাস্তা বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে।
- 1 Fruits(Any seasonal Fruits যে কোন ধরনের ফল-কলা,আম,কমলা,পেপে,বেদানা)
কতটুকু খাবার খাওয়াবেন
আমরা মায়েরা বরাবরই Complain করে থাকি যে বাচ্চা পেট ভরে খায়না,তাই বেশীরভাগ সময়ই বাচ্চাদের জোর করে খাওয়াই যেটা মোটেও উচিত না।বাচ্চাদের জোড় করে খাওয়ালে অনেক বাচ্চাই বমি করে ফেলে দেয়।আবার অনেক মা আছেন যারা বাটিতে যতটুকু খাবার নেন শেষ না অবধি জোড় করে বাচ্চাকে খাওয়াতেই থাকেন,ফলাফল বাচ্চারা Next Time এ খাবার দেখে ভয় পায় এবং কান্না করতে থাকে।এতে করে বাচ্চার শারিরীক এবং মানষিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়।বাচ্চারা আনন্দ নিয়ে যতটুকু খায় ততটুকুই খাওয়ানো উচিত।তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ৬ বার খায়।আর বাচ্চা যদি বুকের দুধ খায় তো সাভাবিক নিয়মে তা খাওয়াতে হবে