কোস্টোকাঠিন্য খুব কস্টের একটি ব্যাপার বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের।পেট ঠিক ভাবে পরিস্কার না হলে বাচ্চারা অনেক সময় পেটের অসস্তির কারনে কান্নাকাটি করে থাকে এবং বাচ্চারা ঠিক ভাবে খেতেও চায়না।আবার অনেক সময় মলের সাথে রক্তপাত হয় এবং বাচ্চারা মলত্যাগ করতে ব্যাথা পায়।এছাড়াও সঠিক সময়ে চিকিতসা না করালে ইনফেকশনের সম্ভাবনাও থেকে যায়।
বেশ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে এবং মেনে চললে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বাচ্চাদের কোস্টোকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে কিছমিছ খুব ভাল কাজ করে।কিছমিছ Calcium,Potassium,Iron এবং প্রচুর Fiber সমৃদ্ধ একটি Dry fruits.কোস্টোকাঠিন্যসহ বদহজম,জ্বর এই সব সমস্যা সারাতেও কিছমিছ খুব উপকারী।
বাচ্চাদের ৬ মাস পর থেকেই বিভিন্নভাবে কিছমিছ খাওয়ানো যায়।ছোট বাচ্চাদের কিছমিছের রস/জুস এমনকি পেস্ট বানিয়েও সুজি,পায়েস ইত্যাদির সাথে চিনির বিকল্প হিসেবে খাওয়াতে পারেন।যেসব বাচ্চারা চিবিয়ে খেতে পারে তাদের Finger Fruits,Dry Fruits হিসেবেও কিছমিছ খাওয়াতে পারেন।
বাচ্চাদের কোস্টোকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে যেভাবে কিছমিছের রস/জুস বানাবেন চলুন জেনে নিন।
যা যা লাগবে-
কিছমিছ – ১ টেবিল চামচ
পানি – ৪ টেবিল চামচ
গুড় – হাফ চা চামচ(ইচ্ছানুযায়ী)
প্রস্তুত প্রনালি-
- কিছমিছ খাবার পানি দিয়ে খুব ভালভাবে ধুয়ে ৪-৫ ঘন্টার মত ভিজিয়ে রাখুন।খুব ভাল হয় যদি সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
- এবার একটি ব্লেন্ডারে যদি গুড় দিতে চান তবে গুড় দিয়ে খুব ভালভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
- একটি ছাকনি দিয়ে ছেকে রস আলাদা করে নিয়ে রসটা বাচ্চাকে খাওয়ান।বাচ্চা কোস্টোকাঠিন্য থেকে দ্রুতই আরাম পাবে।
বাচ্চাদের দৈনিক কতটুকু কিছমিছ খাওয়ানো যাবে-
- ১ বছরের চেয়ে কম বয়সি বাচ্চাদের দৈনিক ১ টেবিল চামচ পরিমান কিছমিছ খাওয়ানো যাবে।আর যদি রস করে খাওয়ান তবে ২-৩ চা চামচ রস রোজ খাওয়াবেন।
- বাচ্চার বয়স ১ বছরের বেশী হলে ২-৩ চা চামচ পরিমান কিছমিছ খাওয়ানো যাবে।আর যদি রস করে খাওয়ান তবে ২ টেবিল চামচ রস রোজ খাওয়াবেন।
- ৩-৪ বছরের বাচ্চা বা বড়দের ক্ষেত্রে ১ টেবিল চামচ কিছমিছ ১ গ্লাস দুধ কিংবা পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পুরোটা ব্লেন্ড করে খেলে কোস্টোকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।