শিশুদের জন্য মারাত্মক কয়েকটি বিপদ চিহ্ন | Danger Signs In Child

By | March 1, 2019

ছোট্ট শিশুর মা,বাবাসহ পরিবারের সবারই বেশ কিছু ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয়।অনেক সময় খুব সাধারন সমস্যাও বাচ্চাদের জন্য বিপদের কারন হয়ে দাড়ায়।অস্বাভাবিক যেকোন লক্ষন দেখা মাত্র শিশুকে হাসপাতালে নিতে হবে কিংবা ডাক্তারের পরামরশ নিতে হবে।

শরিরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া/তাপমাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়া
শিশুর শরিরে দানা/ফুসকুড়ি বের হওয়া
অস্বাভাবিক আচরন/খিচুনি
বাচ্চার শরির নীল হয়ে যাওয়া
বাচ্চার শরিরের রং হলুদ হয়ে যাওয়া
বাচ্চা অনবরত কান্না করা বিশেষ করে রাত্রে
বাচ্চা নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
নাভী দিয়ে পুঁজ পরা
বাচ্চা অতিরিক্ত বমি করা
বাচ্চা বুকের দুধ একেবারেই খেতে না চাওয়া

 

১। শরিরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া/তাপমাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়া

শিশুদের শরিরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া অত্যন্ত বিপদজনক।বিশেষ করে ৬ মাসের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে এটা অনেক সময় ইনফেকশনের লক্ষন প্রকাশ করে।যদি মনে হয় বাচ্চার শরিরের তাপমাত্রা অত্যাধিক বেড়ে গেছে তবে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

আবার শিশুর শরিরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়াও কিন্তু বড় ধরনের বিপদের আভাস হতে পারে।তাই এ ধরনের লক্ষন দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

২।শিশুর শরিরে দানা/ফুসকুড়ি বের হওয়া

বাচ্চার শরিরে দানা/ফুসকুড়ি বের হওয়াও কিন্তু অনেক সময় বিপদের কারন হতে পারে।বাচ্চাদের শরিরে এলার্জি ,মশার কামড় কিংবা অনেক সময় sensitive skin এ লোশন,সাবান,তেল বা পাউডার ব্যাবহারের কারনে দানা দেখা যাতে পারে ।এগুলি ক্ষেত্রে সাধারনত ভয়ের কোন কারন থাকেনা।কিন্তু বাচ্চার শরিরে যদি পুজ যুক্ত দানা/ফুসকুড়ি দেখা যায় তবে সেটা অবশ্যই বিপদের লক্ষন।এক্ষেত্রে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারন দানা/ফুসকুড়ির কারনে অনেক সময় ইনফেকশন Brain damage পর্যন্ত করে দিতে পারে।

৩।অস্বাভাবিক আচরন/খিচুনি

হঠাৎ করেই অনেক সময় বাচ্চারা অস্বাভাবিক আচরন করতে পারে কিংবা খেলতে খেলতেও হঠাৎ খিচুনি উঠে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।এই ধরনের ঘটনা দেখা মাত্র হাসপাতালে নিতে হবে/ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৪।বাচ্চার শরির নীল হয়ে যাওয়া

পরে যেয়ে আঘাত পাওয়া,গলায় কোন কিছু আটকে যাওয়া,জ্বর কিংবা অন্য যেকোন কারনে বাচ্চার শরির নীল/নীলচে বর্ণ হয়ে গেলে খুব দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

৫।বাচ্চার শরিরের রং হলুদ হয়ে যাওয়া

বাচ্চার শরিরের রং বিশেষ করে চোখের রং হলুদ হয়ে যাওয়াও কিন্তু অনেক সময় বড় ধরনের অসুখের লক্ষন প্রকাশ করে।

৬।বাচ্চা অনবরত কান্না করা বিশেষ করে রাত্রে

বাচ্চারা কারনে অকারনে কান্না করবে এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু অনেক সময় বাচ্চার কান্নাও কিন্তু বিপদের কারন হতে পারে।অনেক বাচ্চাই রাত্রে বেশি কান্নাকাটি করে থাকে,এটা মুলত colic pain/পেটে ব্যাথার কারনে হয়ে থাকে।বেশি দিন এটা চলতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।এছাড়াও আরও অন্য কোন কস্টের কারনেও বাচ্চারা অনবরত কান্না করতে পারে।

৭।বাচ্চা নিস্তেজ হয়ে যাওয়া

অনেক সময় বাচ্চারা দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার কারনে Sugar Fall করে নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে।এরকম পরিস্থিতিতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৮।নাভী দিয়ে পুঁজ পরা

সাধারনত ২ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চাদের নাভী শুকিয়ে পরে যায়।তাই এসময়ে বাচ্চার নাভীর বিশেষ যত্ন নিতে হয় যাতে করে কোন রকম ইনফেকশন না হয়।অনেক সময় নাভী দিয়ে রক্ত,পানি বের হয় এবং বাচ্চা কান্না করতে থাকে।এরকম লক্ষন দেখা দিলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামরশ নিতে হবে।

৯।বাচ্চা অতিরিক্ত বমি করা

ছোট বাচ্চারা বিশেষ করে যারা বুকের দুধ খায় তাদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন বমি করে কিছুটা দুধ তোলা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার,কিন্তু খাওয়ার পরপরই  সমস্ত দুধ কিংবা খাবার বমি করে ফেলে দেওয়া কিংবা পেটে ব্যাথা হয়ে বমি হওয়া,চোখে ঝাপসা দেখা,মাথা ঘোরানো সাথে বমি হওয়া অনেক সময় বড় ধরনের বিপদের সংকেত হতে পারে।

১০।বাচ্চা বুকের দুধ একেবারেই খেতে না চাওয়া

বাচ্চারা যতই অসুস্থ থাকুক না কেন ,কিছু না খেতে চাইলেও মায়ের বুকের দুধ খেতে অনীহা করে না।কিন্তু যদি এমন হয় যে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে অন্য কোন খাবার এমন কি বুকের দুধও খাচ্ছেনা তবে  অবশ্যই ডাক্তারের পরামরশ নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *