সিজারিয়ান ডেলিভারি সম্পর্কিত কয়েকটি টিপস | Early Recovery after C-Section

By | February 9, 2019

সি-সেকশন/সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমেই এখন বেশী বাচ্চা জন্ম নিচ্ছে।নরমাল ডেলিভারি এর সাথে সিজারিয়ান ডেলিভারির তুলনা করলে দেখা যায় যে নরমাল ডেলিভারিতে মা খুব অল্প সময়ে সুত্থ হয়ে সাভাবিক জীবনে ফিরে আসে,কিন্তু সিজারিয়ান ডেলিভারিতে মা কে সাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে একটু বেশী সময়ের প্রয়োজন হয়।

সিজারিয়ান ডেলিভারিতে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং কি কি মেনে চললে খুব দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন সেই সম্পর্কিত কয়েকটি টিপস আপনেদের সাথে শেয়ার করবো,আশাকরি এগুলো ফলো করলে অল্প সময়ে সুত্থ হয়ে সাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন।

  • সেলাই এর জায়গার বিশেষ যত্ন নেয়া
  • হাটা
  • বেশী বেশী পানি পান করা
  • আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া
  • ভারী জিনিস না উঠানো
  • বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো

 

বিস্তারিত ভিডিও লিংক-

সেলাই এর জায়গার বিশেষ যত্ন নেয়া

সেলাই এর জায়গার যত্ন নেয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ,সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ধরনের ইনফেকশন না হয়।চেস্টা করবেন অন্তত মাস খানেক জায়গা টা যেন ভেজা না থাকে।যদি গরম কালে ডেলিভারি হয় তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন সেলাই এর জায়গা ঘাম না জমে,কারন ঘাম থেকে ইনফেকশন হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
এছাড়াও সেলাই এর জায়গাটা যদি বেশী চুলকায় ,লাল হয়ে যায় কিংবা অতিরিক্ত ব্যাথা হয় তবে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

হাটা

ডেলিভারির পর খুব দ্রুত সম্ভব হলে এক দিন পর থেকেই হাটার চেস্টা করতে হবে, ১০ পা ২০ পা যতটুকু পারেন।প্রয়োজনে অন্য কারোও সাহায্য নিয়ে হাটার চেস্টা করবেন।এতে করে muscle strengthening হবে,blood circulation বাড়বে এবং constipation এর problem ও ঠিক হয়ে যাবে।

 বেশী বেশী পানি পান করা

সিজারিয়ান ডেলিভারির পর কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা বহুগুন বেড়ে যায় এবং এটা মোটামুটি সবার ক্ষেত্রে common একটি problem।এর প্রধান কারন হচ্ছে সিজারিয়ান ডেলিভারিতে প্রচুর পরিমানে ঔষধ,antibiotic,painkiller খেতে হয়।ফলে গ্যাসের সমস্যা সহ আরো অনেক সমস্যা বেড়ে যায়।আর এসব সমস্যা থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে চাইলে বেশী বেশী পানি পান করতে হবে।

আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া

সিজারিয়ান ডেলিভারি একটা major operation তাই ডেলিভারির পরে bowel movement ঠিকমত না হওয়ার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থেকে যেটা খুব কস্টকর একটি ব্যাপার।এর থেকে মুক্তি পেতে বেশী বেশী আঁশযুক্ত খাবার (fiber )খেতে হবে।যেমন-বিভিন্ন ধরনের ফল,ওটস,মুগ ডাল এতে করে বাচ্চাও ভাল থাকবে।

ভারী জিনিস না উঠানো

সিজারিয়ান ডেলিভারির পর অন্তত ৪-৬ সপ্তাহ কোন ধরনের ভারী জিনিস উঠাবেন না।একান্ত প্রয়োজন হলে husband বা অন্য কারও সাহায্য নিবেন।

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াবেন

বাচ্চাকে বুকের দুধ অবশ্যই খাওয়াবেন,এতে করে একটা অন্যরকম অনুভুতি বুঝতে পারবেন।শুরুর দিকে বাচ্চাকে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে একটু কস্ট হলেও ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।চেস্টা করবেন দুপাশের দুধই বাচ্চাকে খাওয়াতে।প্রয়োজনে স্বামী,মা,শাশুড়ি কিংবা দক্ষ কারও সাহায্য নিবেন।বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে দেখবেন কস্ট অনেকটাই কমে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *