বাচ্চাদের ডাইরিয়া/পাতলা পায়খানা হবার প্রধান ৩ টি কারন | Top 3 Reason For Diarrhea In Babies(Part – 1)

By | March 21, 2019

শিশুদের ডাইরিয়া বা পাতলা পায়খানা খুব কমন একটি সমস্যা।মোটামুটি সব মা বাবাকেই বাচ্চার এই সমস্যাটি নিয়ে কঠিন অবস্থা পার করতে হয়।ডাইরিয়া হলে বাচ্চার যেমন কস্ট হয় ঠিক তেমনি মা বাবাকেও যথেস্ট কস্টের দিন পার করতে হয়।মাঝে মাঝে ডাইরিয়ার কারনে বাচ্চার জীবন পর্যন্ত হুমকির সম্মুখিন হয়।তাই আমরা চেস্টা করবো বাচ্চারা যেন ঘন ঘন ডাইরিয়া বা পেটের যেকোন ধরনের সমস্যায় না ভুগে।
বাচ্চাদের ডাইরিয়া কিংবা পাতলা পায়খানা হবার জন্য মুলত ৩ টি কারন সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব বহন করে থাকে।আজ মুলত সেই কারনগুলি নিয়েই আলোচনা করবো।যাতে করে পরবর্তীতে আমরা আমাদের বাচ্চাদের রক্ষনাবেক্ষনে আরও বেশী সতর্ক হতে পারি।

বাচ্চার খাবার

বাচ্চাদের ডাইরিয়া কিংবা পাতলা পায়খানা হওয়ার পেছনে তার খাবার সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।অনেক বাচ্চাই Food Allergy জনিত কারনে ডাইরিয়া কিংবা পাতলা পায়খানাসহ পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন।আবার অনেক সময় বাসী খাবার যেমন এক সাথে অনেকখানি করে রান্না করে বাড়ে বাড়ে বাচ্চাকে খাওয়ানোর কারনেও কিন্তু ডাইরিয়া কিংবা পাতলা পায়খানাসহ পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

বাচ্চা মুখে অপরিস্কার কিছু দিয়ে দেয়া

অনেক সময় বাচ্চারা অপরিস্কার নোংরা জীবানু যুক্ত জিনিস মুখে দিয়ে দেয়,যার ফলে বাচ্চার পেটে infection হয়ে অনেক সময়ে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

বাচ্চার খাবার পানি পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ না হওয়া

যদি বাচ্চাকে Formula milk খাওয়ানো হয় তবে যেই পানি দিয়ে দুধ বানানো হচ্ছে তা যদি পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ না হয় তবে দুধের সাথে সাথে কিন্তু জীবানুও বাচ্চার পেটে ঢুকে পরে।এর ফলে অনেক সময় ডাইরিয়া কিংবা পাতলা পায়খানার মত সমস্যা হয়ে থাকে।

 

ইউটিউব ভিডিও লিংক-

১। বাচ্চার খাবার

বাচ্চাদের ডাইরিয়া কিংবা পাতলা পায়খানা হওয়ার পেছনে তার খাবার সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।সাধারনত বাচ্চার বয়স ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পর যখন তাকে বাড়তি খাবার খাওয়ানো শুরু করা হয় তখন বিভিন্ন ধরনের খাবারের এলার্জির কারনে ডাইরিয়া কিংবা পাতলা পায়খানার মত সমস্যা হতে পারে।আমাদের দেশে বেশীরভাগ পরিবারেই বাচ্চার বয়স ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পর বেশ কয়েক ধরনের সবজি,কয়েক ধরনের ডাল এবং চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে বাচ্চাকে খাইয়ে থাকে।এতে করে অনেক বাচ্চাই Food Allergy জনিত কারনে ডাইরিয়া কিংবা পাতলা পায়খানাসহ পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন।বাচ্চাকে বাড়তি খাবার দেওয়ার শুরুতেই একই সাথে কয়েক ধরনের ফল,সবজি কিংবা ডাল খাওয়ানো উচিত না।নিয়ম হলো প্রথমাবস্থায় যেকোন একটি ফল বা সবজি পরপর তিন দিন বাচ্চাকে খাওয়ানো,এসময়ে অন্য কোন ফল বা সবজি দেয়া যাবেনা।এতে করে বুঝা যাবে যে বাচ্চার ঐ নির্দিষ্ট খাবারে এলার্জি আছে কিনা।পরবর্তীতে ধীরে ধীরে একই সাথে কয়েক ধরনের ফল,সবজি কিংবা ডাল খাওয়ানো যাবে।
আবার অনেক সময় বাসী খাবার যেমন এক সাথে অনেকখানি করে রান্না করে বাড়ে বাড়ে বাচ্চাকে খাওয়ানোর কারনেও কিন্তু ডাইরিয়া কিংবা পাতলা পায়খানাসহ পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।চেস্টা করবেন বাচ্চাদের খাবারগুলি টাটকা টাটকা রান্না করে যত দ্রুত সম্ভব খাওয়ানো,আর তা না করতে পারলে সঠিক উপায়ে বাচ্চার রান্না করা খাবার সংরক্ষন করতে হবে।

২।বাচ্চা মুখে অপরিস্কার কিছু দিয়ে দেয়া

ছোট বাচ্চারা সাধারনত বিশেষ করে যখন নতুন নতুন দাত গজায় তখন যা সামনে পায় তাই মুখে দিয়ে দেয়।যদিও মায়েরা চেস্টা করে বাচ্চার ব্যবহৃত সমস্ত কিছু যেমন – খেলনা,চুষনি,দোলনা এবং কাপর চোপড় সব সময় পরিস্কার রাখতে তার পরেও কিন্তু কোন না কোন ভাবে অপরিস্কার নোংরা জীবানু যুক্ত জিনিস বাচ্চারা মুখে দিয়ে দেয়।যার ফলে বাচ্চার পেটে infection হয়ে অনেক সময়ে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

৩। বাচ্চার খাবার পানি পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ না হওয়া

অনেকেই আছেন যারা বাচ্চার খাবার পানি পর্যাপ্ত পরিমানে বিশুদ্ধ কিনা এ ব্যাপারে যথেস্ট খেয়াল করেন না।বিশেষ করে যদি বাচ্চাকে Formula milk খাওয়ানো হয় তবে যেই পানি দিয়ে দুধ বানানো হচ্ছে তা যদি পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ না হয় তবে দুধের সাথে সাথে কিন্তু জীবানুও বাচ্চার পেটে ঢুকে পরে।এর ফলে অনেক সময় ডাইরিয়া কিংবা পাতলা পায়খানার মত সমস্যা হয়ে থাকে।তাই Formula milk বানানোর জন্য সব সময় বিশুদ্ধ পানি ব্যাবহার করতে হবে।বাচ্চার ব্যবহৃত Feeder,পানির বোতল,চামচ,বাটি সব সময় বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুতে হবে।

এছাড়াও বাচ্চাদের বাহিরের খাবার যতটা সম্ভব না খাইয়ে ঘরে তৈরী করে খাওয়াতে হবে।বাসায় যাতে করে মাছি,তেলাপোকা এবং ইদুর এর দৈরত্য না বাড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।বাসায় যদি অন্য কোন সদস্যের ডাইরিয়া বা পাতলা পায়খানা হয় তবে তার বিশেষ খেয়াল নিতে হবে এবং আক্রাত্ন রোগীর কাছ থেকে বাচ্চাদের যটটা সম্ভব দুরে রাখতে হবে।বাসার প্রত্যেক সদস্যকে নিয়মিত এন্টিসেপটিক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *