ওটস এমন একটি পুষ্টিকর খাবার যা বাচ্চাদের পেট ভরার সাথে সাথে হজম শক্তি বাড়ায়|ওটস প্রোটিন, ফাইবার আর বিটা গ্লুকোনে ভরপুর।ওটসমিলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর মাত্রায় থাকে যা এর ভিতর থাকা ভিটামিন E ও আয়রনের থেকে পাওয়া যায়| শুধু এইটুকুই নয় ওটমিলে ভিটামিন বি 1, তামা, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো পুস্টিকর উপাদান থাকে।তাই বাচ্চার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন ওটস কলার পরিজ(Banana Oats).
প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো
ওটস – ২ টেবিল চামচ
পানি – হাফ কাপ
কলা – ১ টা মাঝারি
দুধ – হাফ কাপ(এক বছরের বেশী বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে গরুর দুধ দিয়ে রান্না করা যাবে)
ঘি/তেল – ১ চামচ
লবন – ১ চিমটি
প্রস্তুত প্রনালী
- যে পাত্রে রান্না করা হবে তাতে ওটস নিয়ে হাফ কাপ পানি এবং হাফ কাপ দুধ যোগ করে ভালভাবে মিশিয়ে ঘন ঘন নাড়তে হবে যাতে দলা না পেকে যায়।
- এবার ১ চামচ ঘি কিংবা তেল এবং ১ চিমটি লবন দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে ৫ মিনিটের জন্য।
- একটু পাতলা থাকতে নামিয়ে নিতে হবে কারন ওটস ঠান্ডা হলে ঘন হয়ে যায়।
- মোটামুটি ঠান্ডা হয়ে এলে একটি পাকা কলা ভালভাবে চটকে কিংবা ব্লেন্ড করে (বাচ্চারা চিবিয়ে খেতে পারলে পাতলা করে গোলগোল আকারে কেটে দেয়া যায়)ওটসের সাথে মিশিয়ে হালকা গরম অবস্থায় শিশুকে পরিবেশন করতে হবে।
- প্রয়োজনে বুকের দুধ কিংবা ফরমুলা মিল্ক যোগ করে দেয়া যাবে
দেখে নিন কিভাবে তৈরী করবেন ওটস কলার পরিজ
টীকা
* ওটসের সাথে চাইলে সিদ্ধ আপেল,পিয়ার,স্ট্রবেরি মিশিয়ে বাচ্চাকে দেয়া যাবে।
* এক বছরের নিচের শিশুদের খাবারে লবন / চিনি না দেয়াই ভাল,তবে খেজুরের সিরাপ খাবারে যোগ করা যাবে।
* ছয় মাসের পর থেকে একবারে চার/পাঁচ বছর বয়সি শিশুদেরও এই খাবার খাওয়াতে পারেন৷
* যে কোন ধরনের নতুন খাবার বাচ্চাকে দেয়ার আগে প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।