বেশীরভাগ মা বাবাই অভিযোগ করে থাকেন যে যথেস্ট পরিমানে খাবার খাওয়ানোর পরও বাচ্চার ওজন কমে যাচ্ছে বা ওজন বাড়ছে না।এখানে বেশ কয়েকটি টিপস শেয়ার করছি যেগুলি ফলো করলে আশাকরি আপনাদের বাচ্চার সাভাবিক ওজন বৃদ্ধি পাবে।
ভিডিও লিংক-
বাচ্চাকে খাওয়ানোর পর পরই গোসল করানো
যদি আপনি বাচ্চাকে খাওয়ানোর পর পরই গোসল করান তাহলে দ্রুত এই অভ্যাস পরিবর্তন করুন।
বাচ্চাকে খাওয়ানোর পর পরই গোসল করালে তার পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়,ফলে বাচ্চার হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং হজম শক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়।এরফলে বাচ্চার বমি,বদ হজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর সহ আরও অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়।অনেকেই এই ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দেয়না কিন্তু বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি না হওয়ার এটি একটি বড় কারন।সবচেয়ে ভাল হয় বাচ্চাকে প্রয়োজনে আগে গোসল করান তারপর তাকে খাওয়ান।এতে করে বাচ্চা খাবারের পুরো পুস্টিগুনটাই পাবে।
বাচ্চাকে ভারী খাবার(main meal) খাওয়ানোর আগে বুকের দুধ কিংবা পানি খাওয়ানো
এটা মুলত ৬ মাসের বেশী বয়সি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।বাচ্চাকে ভারী খাবার(main meal) খাওয়ানোর আগে বুকের দুধ কিংবা পানি খাওয়ালে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয়।
বাচ্চাদের পাকস্থলী এমনিতেই খুব ছোট,তাই ভারী খাবার খাওয়ানোর আগে বুকের দুধ কিংবা বেশী করে পানি খাওয়ালে তার ছোট্ট পেট আগেই ভরে যায়,ফলে বাচ্চা যথেস্ট পরিমানে সলিড খাবার খেতে পারেনা।আবার একটু জোর করে খাওয়াতে গেলে বমি করে দেয়।চেস্টা করবেন খাবার খাওয়া শেষ হলে বাচ্চাকে পানি খাওয়াতে।একান্ত প্রয়োজন হলে খাবারের মাঝে খুব অল্প পরিমানে পানি খাওয়াতে।
দীর্ঘ সময়ের বিরতিতে বাচ্চাকে খাওয়ানো
দীর্ঘ সময়ের বিরতিতে খাওয়ানো বাচ্চার ওজন কমে যাওয়া কিংবা ওজন বৃদ্ধি না পাবার একটি অন্যতম কারন।
বাচ্চাকে অনেকক্ষন না খাইয়ে রাখলে পেটে গ্যাস জমে যায়,এতে করে বাতাসে বাচ্চার পেট ফুলে থাকে এবং যথেস্ট পরিমানে খাবার খেতে পারেনা।গ্যাসের জন্য খাবারের প্রতি অনিহা তৈরী হয়।দীর্ঘ সময়ে না খেয়ে থাকার ফলে বাচ্চার ক্ষুধামন্দা,বমি এবং বদ হজমের মত সমস্যা সৃষ্টি হয়।এই কারনে বাচ্চা খুব কম পরিমানে খায় ফলে বাচ্চার ওজন কমে যায় কিংবা ওজন বৃদ্ধি পায়না।
নিয়ম হলো বাচ্চা ঘুম থেকে উঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে খাবে এবং একবার ভারী খাবার খাওয়ানোর ৩ – ৪ ঘন্টা পর পরবর্তী ভারী খাবার খাওয়ানো।